বাস্ততন্ত্র
1. বাস্তুবিদ্যা যা ইকোলজি ককে বলে?
উঃ ইকোলজি শব্দটি গ্রীক শব্দ 'Oikos' থেকে এসেছে যার অর্থ বাসস্থান, 'Logos' শব্দটির অর্থ জ্ঞান। অর্থাৎ জীবের বাসস্থান সম্পর্কে বিশেষ বিদ্যাকেই বাস্তুবিদ্যা বলে।
2. পপুলেশন বা জীবসংখ্যা কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাসকারী একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবগোষ্ঠীকে পপুলেশান বলে।
3. জীবমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ প্রকৃতির সমস্ত অঞ্চল ফল – বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, অশ্মমণ্ডল যেখানে জীবের অস্তিত্ব দেখা যায় সেই সমস্ত অঞ্চলকে একত্রে জীবমণ্ডল বলে।
4. প্ল্যাঙ্কটন কাকে বলে?
উঃ জলের উপর বসবাসকারী ভাসমান আণুবীক্ষণিক জীবকে প্লাঙ্কটন বলে। এই জীব যদি প্রাণী হয় তবে তাকে প্রাণী হ্যাঙ্কটন (200 planction) বলে এবং যদি উদ্ভিদ হয় তবে তাকে উদ্ভিদ প্ল্যাঙ্কটন (phytoplankton) বলে।
5. স্বভোজী জীব কাকে বলে?
উঃ যে সকল জীব প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন প্রকার খনিজ দ্রব্য ও জল আহরণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে খাদ্য প্রস্তুত করে তাদের স্বভোজী জীব বলে।
6. খাদ্যজালিকা কাকে বলে?
উঃ বাস্তুতন্ত্রের একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল পরস্পর যুক্ত হয়ে যে জালিকার গঠন করে তাকে খাদ্যজালিকা বলে।
7. পশ্চিমবঙ্গের যে কোন দুটি অভয়ারণ্যের নাম লেখ।
উঃ জলদাপাড়া ও গরুমারা।
৪. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় সংরক্ষিত বন বর্তমান?
উঃ সজনেখালিতে।
9. খাদক কাকে বলে?
উঃ যে সকল জীব অন্য জীবদের খেয়ে নিজেদের শক্তি সংগ্রহ করে তাদের খাদক বলে।
10. অনবীভবনযোগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উঃ যে সকল সম্পদের মজুত পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বর্তমান এবং একবার নিঃশেষিত হলে পুনরায় প্রাপ্তি সম্ভব নয় তাদেরকে অনবীভবনযোগ, সম্পদ বলে। যেমন কয়লা, ধাতু, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।
11. নেকটন কাদের বলে?
উঃ জলে বসবাসকারী যে সকল প্রাণী সাঁতার কাটতে পারে তাদের নেকটন বলে। যেমন- মাছ ইত্যাদি।
12. বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম একক কী?
উঃ বায়োস্ফিয়ার।
13. বনভূমির বৃক্ষের সবচেয়ে উপরের আবরণকে কী বলে?
উঃ চাঁদোয়া।
14. বাস্তুতন্ত্রের উদ্ভিদসমূহকে কী বলা হয়?
উঃ ফ্লোরা।
15. পার্মাফ্রস্ট কোথায় দেখা যায়?
উঃ তুন্দ্রা বায়মে।
16. সরলবর্গীয় বৃক্ষের অপর নাম কী?
উঃ টেগা।
17. পৃথিবীর মোট বনভূমির কত শতাংশ নিরক্ষীয় বন দ্বারা আবৃত?
উঃ ৭ শতাংশ।
18. নিরক্ষীয় বর্ষা বনে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
উঃ ২৪০-৪৩০ সেমি।
19. চিপকো আন্দলন কোথায় শুরু হয়?
উঃ উত্তরপ্রদেশে।
20. উত্তর আমেরিকার তৃণভূমির নাম কী?
উঃ প্রেইরী ।
21. বনসংরক্ষণ আইন কবে প্রণয়ন হয়?
উঃ ১৯৮০ সালে।
22. বর্তমান ভারতবর্ষে অবলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা কত?
উঃ ৪৫০ টি।
23. এখন ভারতবর্ষে অভয়ারণ্যের সংখ্যা কটি?
উঃ ৪৪১ টি।
24. করবেট জাতীয় পার্ক কোথায় অবস্থিত?
উঃ উত্তরপ্রদেশে।
25. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় গণ্ডার পাওয়া যায়?
উঃ জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে।
26. গ্রেট ইণ্ডিয়ান বাস্টার্ড পাখি ভারতের কোন রাজ্যে দেখা যায়?
উঃ গুজরাটে।
27. ভারতের অবলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের নাম যে বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেই বইয়ের নাম কী?
উঃ রেড ডাটা বুক।
28. বন্দিপুর জাতীয় পার্ক কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ কর্ণাটকে।
29. ভারতের বৃহত্তম পক্ষী অভয়ারণ্য কোথায় অবস্থিত?
উঃ ঘানা (রাজস্থান)।
30. ভারতে কোথায় সিংহ দেখা যায়?
উঃ জনরাটের গির অভয়ারণ্যে।
31. ভারতে কোথায় গণ্ডার দেখা যায়?
উঃ আসামের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে।
32. পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার একটি অভয়ারণ্যের নাম লেখ।
উঃ বেথুয়াডহরী।
33. পশ্চিমবঙ্গের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কোথায় অবস্থিত?
উঃ সুন্দরবনে।
34. ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক রামসার কনভেনশান অনুষ্ঠিত হয় কী জন্য?
উঃ জলাভূমি সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
35. ইকোলজি শব্দটির সংজ্ঞা কে প্রদান করেন?
উঃ আর্নেস্ট হেকেল।
36. ইকোসিস্টেম শব্দটির কে প্রবর্তন করেন?
উঃ আর্থার ট্যান্সলে।
37. সানা কী?
উঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলের তৃণভূমি।
36. পরাশ্রয়ী অর্কিড উদ্ভিদ কোথায় দেখা যায়?
উঃ নিরক্ষীয় বর্ষাবনে।
39. ইকোটোন কাকে বলে?
উঃ দুইটি বাস্তুতন্ত্রের মিলনকে।
40. সাইলেন্ট ভ্যালি কোথায় অবস্থিত?
উঃ কেরলে।
41. ভারতে কোথায় একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখা যায়?
উঃ আসামের কাজিরাঙ্গায়।
42. ভারতের সর্ববৃহৎ পক্ষির লয় কোথায় অবস্থিত?
উঃ রাজস্থানের ভরতপুরস্থিত ঘানায়।
43. খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে উৎপাদক স্তর থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন জীবগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যশক্তির প্রবাহকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
44. খাদ্যশৃঙ্খল কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ খাদ্যশৃঙ্খল দুই প্রকার। যথা- গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল ও ডেস্ট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল।
45. গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল কী?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে উৎপাদক স্তর থেকে শক্তি ধাপে ধাপে তৃণভোজী ও মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে সংক্রমিত হয় তাকে গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন – উদ্ভিদ হরিণ বাঘ।
46. ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে বিয়োজক স্তর থেকে খাদক স্তরে ধাপে ধাপে শক্তি সঞ্চারিত হয় তাকে ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন মাছ। পচা পাতা ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী ছোট মাছ বড়
47. ডেট্রিভোর কাকে বলে?
উঃ ডেট্রিটাস বা আংশিক ভাবে বিয়োজিত জৈব পদার্থকে যে সব ছোট ছোট প্রাণী খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে তাদের ডেট্রিভোর বলে। যেমন- কেঁচো, উইপোকা।
48. শক্তিপ্রবাহ কাকে বলে?
উঃ বাস্তুতন্ত্রে সৌরশক্তি রূপান্তরিত হয়ে এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হওয়াকে শক্তিপ্রবাহ বা Energy Flow বলে।
49, পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে খাদ্য-খাদক সম্পর্ক বৃহৎ প্রাণী থেকে শুরু হয়ে পরজীবী ক্ষুদ্র প্রাণীতে শেষ
হয় তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন - কুকুর -- কৃমি • বিয়োজক।
50. মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খল শক্তির প্রবাহকে ভিত্তি করে মৃতজীবী বিয়োজক স্তরেই আবদ্ধ থাকে তাকে
মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
51. কার্বন চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় কার্বন মৌল কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস রূপে পরিবেশ থেকে জীবদেহে ও জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে কার্বনের সমতা বজায় রাখে তাকে কার্বনচক্র বলে।
52. নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন জীবজগতে এবং জীবজগত থেকে নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় রাখে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
53. ফসফরাস চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় ফসফরাস মৌল পরিবেশ থকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে ফসফরাসের সমতা বজায় রাখে তাকে ফসফরাস চক্র বলে।
54. অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে?
উঃ যে পদ্ধতিতে মাটিতে বসবাসকারী ব্যাকটিরিয়া নাইট্রোজেন যৌগকে অ্যামোনিয়ায় পরিণত করে তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে।
55. সালফার চক্র কাকে বলে?
উঃ যে পদ্ধতিতে সালফার মৌল পরিবেশ থকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে সালফারের সমতা বজায় রাখে তাকে সালফার চক্র বলে।
56. পরিবেশে সালফারের উপাদানগুলি কী কী?
উঃ হাইড্রোজেন সালফাইড ও সালফার ডাই অক্সাইড।
57. জলচক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রাকৃতিক শক্তির বশে জল তার বিভিন্ন অবস্থায় শিলামণ্ডল, বারিমণ্ডল ও আবহমণ্ডলের মধ্যে ক্রমাগত অপরিহত অবস্থায় আবর্তিত হয়ে চলেছে, জলের সেই চক্রাকার আদান-প্রদান ব্যবস্থাকেই জলচক্র বলে।
58. বায়োম কাকে বলে?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ মাটি ও জলবায়ুর সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে যে বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে।
59. বায়োজিওগ্রাফিক্যাল প্রসেসেস বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী সিমন্স ১৯৮২ সালে বইটি লেখেন।
60. জিওগ্রাফি অ্যান্ড ম্যান্স এনভার্নমেন্ট বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী স্ট্যালার অ্যান্ড স্টালার ১৯৭৬ সালে বইটি লেখেন।
61. ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী জিমারম্যান ১৯৫১ সালে বইটি লেখেন।
62. জীবভর বা বায়োমাস কী?
উঃ বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী জীবিত প্রাণীদের মোট ভরকে জীবভর বা বায়োমাস বলে।
63. IBWL -এর পুরো নাম কী?
উঃ Indian Board of Wild Life.
64. CRYO BANK ?
উঃ মাইনাস (-) ১৯৬ ডিগ্রি উষ্ণতায় উদ্ভিদের কোন বিশেষ অঙ্গ, কোষ, পরাগরেণু, ভ্রূণ, শুক্রাণু, ডিম্বাণু ইত্যাদি যেখানে সংরক্ষণ করা হয় তাকে CRYO BANK বলে।
65. বিয়োজক কাকে বলে?
উঃ যারা মৃত প্রাণী ও উদ্ভিদের জৈব পদার্থকে সরলীকরণ করে পুনরায় উদ্ভিদের গ্রহণযোগ্য করে তোলে তাদের বিয়োজক বলে। যেমন- ব্যাকটিরিয়া।
66. নেবুলা কী দিয়ে গঠিত হয়?
উঃ গ্যাস ও ধুলোবালি দ্বারা।
67. ওজন গ্যাসের আবরণ দেখা যায় বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।
68. বায়ুমণ্ডলের কত উচ্চতা পর্যন্ত ট্রপোস্ফিয়ার বিস্তৃত?
উঃ ১৫ কিমি।
69. নগ্ন জিন কাকে বলা হয়?
উঃ নিউক্লিক অ্যাসিডকে।
70. প্রোটিনের গঠনমূলক একক কী?
উঃ অ্যামাইনো অ্যসিড।
71. স্থলজ ও জলজ দশা দেখা যায় কোন চক্রে?
উঃ ফসফরাস চক্রে।
72. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত?
উঃ ২০.৬০ ভাগ।
73. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কত?
উঃ ০.০৩ ভাগ।
74. শিলামণ্ডলের উপরিভাগ প্রধানত কী দিয়ে গঠিত?
উঃ সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম।
75. উত্তপ্ত তরল স্যুপ মতবাদটি কে প্রদান করেন?
উঃ বিজ্ঞানী হ্যালডেন।
76. জীবদেহের কোন অনুগুলি আত্মপ্রতিলিপি গঠনে সক্ষম?
উঃ DNA RANA
77. দুটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখ যারা প্রোটিন ভেঙে প্রকৃতিতে সালফার মুক্ত করে? উঃ ইন্চেরিশিয়া এবং প্রোটিয়াস।
78. FAO-এর পুরো নাম কী?
উঃ Food and Agricultural Organization.