আমাদের পৃথিবী অতি সুন্দর, অপরূপ ও বৈচিত্র্যময়। এই বৃহৎ বিশ্বের সবটুকু দেখার আগ্রহ তাই সবার মধ্যেই থাকে। অজানাকে জানা আর অদেখাকে দেখার একনিষ্ঠ আকূল আগ্রহ নিয়ে মানুষ এই কারণেই বেরিয়ে পড়ে। আর যেখান থেকে এই দেখা শুরু হয়, সেই স্থান থেকেই শুরু হয় শিক্ষা।
আমাদের বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছরই কোনো না-কোনো স্থানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। গতবার আমরা গিয়েছিলাম কলকাতার বালিগঞ্জে বিড়লা মিউজিয়ামে। পরিকল্পনামতে আমরা কেবল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই বিজ্ঞানের শিক্ষকের সঙ্গে 20 নভেম্বর সকাল সকাল গিয়ে পৌঁছোলাম মিউজিয়ামে
বিড়লা মিউজিয়াম বেলা ১১ টায় খোলে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আমরা মিউজিয়ামে ঢুকতে পারলাম। বিশাল মিউজিয়ামের অনেকগুলি কক্ষ। তার মধ্যে শুধু শো-য়ের জন্য নির্দিষ্ট ১২টি কক্ষ। লিফটের ব্যবস্থা থাকায় আমাদের সুবিধা হয়েছিল সমগ্র বিড়লা মিউজিয়াম চাক্ষুষ দেখতে।
সবচেয়ে ভালো লেগেছিল ওখানকার একটি শোয়ে। সিনেমার নায়ক-নায়িকারা যে বাস্তবে ওড়ে না, তা রং আর থ্রিডি মেশিনের মাধ্যমে আমাদের সামনে দেখানো হল। আবার জাদুখেলায় মুখে যে-আগুন ধরানো হয়, তা যে বিজ্ঞানেরই খেলা—তা আমাদের শিখিয়ে দেওয়া হল।
শো-গুলি দেখবার ফাঁকে আমরা খেয়ে নিয়েছিলাম। টিফিনে ছিল রাধাবল্লভী, পনির আর মিষ্টি। লাঞ্চে খেয়েছিলাম বিরিয়ানি আর স্যালাড। বিকালে ফল আর মিষ্টি। এক অর্থে সেই দিন ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও জমাটি হয়েছিল।
অবশেষে ফিরতে হল। সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় স্যারের নির্দেশমতো গাড়িতে উঠলাম । আসলে বিড়লা মিউজিয়ামে ছোটোদের জন্য অনেক গেম খেলার ব্যবস্থা ছিল। সেগুলি বাদ দিয়ে ফিরে আসতে মন চাইছিল না। কিন্তু স্যারের কড়া নির্দেশে অগত্যা ফিরতেই হল।